• ঢাকা, বাংলাদেশ বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৯:১৪ অপরাহ্ন
  • [কনভাটার]

খুমেকে মিলল ব্যক্তিগত প্যাথলোজি, দেওয়া হতো ‘ভুয়া রিপোর্ট’

নিজস্ব প্রতিবেদক / ২৭ জন দেখেছে
আপডেট : বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে মিলল ব্যক্তিগত প্যাথলোজির সন্ধান। হাসপাতালের নিচতলার এআরটি সেন্টারের ল্যাবে সিনডিড নামে একটি প্যাথলোজি চালান হাসপাতালের ল্যাব টেকনিশিয়ান। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ভুয়া ল্যাবের প্যাড, মেয়াদ উত্তীর্ণ ও মানহীন রিএজেন্ট ও রিপোর্ট প্রিন্ট করার জন্য ল্যাপটপ ও প্রিন্টার।

এদিকে সরকারি হাসপাতালের মধ্যেই এমন ভয়াবহ অপরাধের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে নাগরিক সমাজানা গেছে, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিচতলার ১৩০ নম্বর রুম। এইডস আক্রান্ত রোগীদের ভাইরাল লোড পরীক্ষা করার জন্য এই রুমটি ব্যবহার করা হয়। রুমে একটি সরকারি ফ্রিজে সরকারি রিএজেন্ট এবং ভাইরাল লোড পরীক্ষা করার যন্ত্রপাতি রয়েছে। এই ল্যাবের একমাত্র মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট মো. সেলিমুজ্জামান। সরকারি হাসপাতালে বসে দীর্ঘদিন ভয়াবহ প্রতারণা করে আসছে রোগীদের সাথে। নিজের ছেলের নামে গায়েবি প্যাথলজি বানিয়ে তার প্যাড রেখেছেন এই ল্যাবে। ভুয়া রিপোর্ট প্রিন্ট করার জন্য বাইরে থেকে নিজেই কিনে এনেছেন প্রিন্টার। সব মিলে গায়েবি প্যাথলোজির ভুয়া রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সরকারি প্রতিষ্ঠান ভেবে ঠকছেন সাধারণ রোগীরা।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মিজানুর রহমান অভিযান চালান এই ভুয়া রিপোর্ট তৈরির গায়েবি প্যাথলোজিতে। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় সেলিমুজ্জামানের সিনডিড ডায়াগনস্টিক এন্ড রিসার্স সেন্টার নামে একটি গায়েবি প্যাথলজির শত শত রিপোর্ট প্যাড। ভুয়া রিপোর্ট তৈরিতে ব্যবহৃত ল্যাপটপ এবং প্রিন্টার। সরকারি ফ্রিজের ভিতরে মেয়াদ উত্তীর্ণ রিএজেন্ট এবং মানহীন রিএজেন্ট। এছাড়া গায়েবি রিপোর্টে সব জেনেও যারা চুপ থাকেন তাদের জন্য রয়েছে মোটা কমিশন। উদ্ধার হয়েছে কমিশনের রেজিস্ট্রার খাতাও। সেখানে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন চিকিৎসক ও নিরাপত্তা বাহিনী আনসারের নামও।

ডা. মিজানুর রহমান বলেন, কয়েকদিন ধরে এমন খবর আসছিল যে হাসপাতালের মধ্যেই গায়েবি প্যাথলোজি খুলেছেন সেলিমুজ্জামান নামে এক মেডিকেল টেকনোলোজিষ্ট। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সকল তথ্য প্রমাণসহ তাকে পরিচালক স্যারের রুমে নিয়ে আসি। সেখানে উপ-পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক স্যাররাও ছিলেন। সে উন্নয়ন খাতের কর্মচারী। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হচ্ছে। কোনো ধরনের অনিয়ম চলবে না খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

অভিযুক্ত মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট মো. সেলিমুজ্জামান বলেন, আমি কয়েকদিনের জন্য মাত্র এটি করেছিলাম। এখন আর করি না। কিন্তু এগুলো সরানো হয়নি। আমি এখানে এগুলো ব্যক্তিগত রিসার্চের জন্য সামান্য করতাম। আমার বাসায় মেশিন আছে সেখান থেকে টেস্ট করিয়ে রিপোর্ট এনে দিতাম। তবে এগুলো বেশ কিছুদিন আগে থেকে বন্ধ করেছি। এখন আর করি না।জ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

তথ্য ভান্ডার

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮