সফরসঙ্গী হিসেবে এরদোয়ানের সঙ্গে থাকবে উচ্চপর্যায়ের এক প্রতিনিধি দল, যেখানে মন্ত্রী, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং করপোরেট নেতারা উপস্থিত থাকবেসফরকালে তিনি পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি ও প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে মিলিত হবেন। এসব বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন, অর্থনীতি, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় আসবে।
এরদোয়ানের এ সফরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি হলো- পাকিস্তান-তুরস্ক উচ্চ-স্তরের কৌশলগত সহযোগিতা পরিষদের (এইচএলএসসিসি) ৭ম অধিবেশনে অংশগ্রহণ।
এতে কূটনৈতিক, বাণিজ্যিক ও প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও জোরদারের বিষয়ে আলোচনা হবে। অধিবেশন শেষে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হওয়ার কথা রয়েছে।
এছাড়া, এরদোয়ান ও শাহবাজ শরিফ যৌথভাবে পাকিস্তান-তুরস্ক ব্যবসা ও বিনিয়োগ ফোরামের উদ্বোধন করবেন। এতে দুই দেশের শিল্প ও বাণিজ্য খাতের শীর্ষ ব্যক্তিরা অংশ নেবেন।
ঐতিহাসিকভাবে পাকিস্তান ও তুরস্কের মধ্যে ঘনিষ্ঠ কূটনৈতিক ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। বিশেষ করে সামরিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে দুই দেশ দীর্ঘদিন ধরে পারস্পরিক সহযোগিতা করে আসছে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের এই সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে এবং নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে।ন।