• ঢাকা, বাংলাদেশ শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৬:০৫ অপরাহ্ন
  • [কনভাটার]

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার শঙ্কা, কী বলছে যোদ্ধারা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক। অনলাইন সংরক্ষণ / ২৬ জন দেখেছে
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে যাক তা চায় না ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। কিন্তু তারা জিম্মি মুক্তিও স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে হামাস যুদ্ধবিরতি বহাল রাখতে তাদের সদিচ্ছা রয়েছে বলে দাবি করে। শনিবারের মধ্যে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার সময়সীমা এবং আবারও যুদ্ধ শুরুর হুমকির মধ্যে গোষ্ঠীটি বিবৃতি দিযুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে হামাস শনিবার আরও তিনজন জিম্মিকে মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছিল। কিন্তু এই সপ্তাহে হঠাৎ তারা জিম্মি মুক্তি স্থগিত করে। এ জন্য ইসরায়েল চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করা হয়। হামাসের এ ধরনের সিদ্ধান্তে কঠোর বার্তা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার দুপুরের মধ্যে সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি না দিলে গাজায় ‘নরক’ শুরু করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। ট্রাম্পের সঙ্গে সুর মেলান ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি সম্ভাব্য হামলার প্রস্তুতি নিতে তার সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন।

হামাসের জিম্মি স্থগিতের সিদ্ধান্তে গাজায় যখন আবারও হামলার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে তখন গোষ্ঠীটি বলছে, গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে পড়ার ব্যাপারে আমরা আগ্রহী নই। আমরা এর বাস্তবায়ন এবং দখলদার (ইসরায়েল) যাতে এটি সম্পূর্ণরূপে মেনে চলে তা নিশ্চিত করতে আগ্রহী। হামাসের মুখপাত্র আবদেল লতিফ আল কানৌয়া এসব বলেছেতিনি আরও বলেন, ট্রাম্প এবং নেতানিয়াহু যে হুমকি-ভীতি প্রদর্শনের ভাষা ব্যবহার করেছেন তা যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে সহায়ক নয়।

এদিকে গাজা উপত্যকায় আবারও ভয়াবহ সংঘাতের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নতুন করে সংঘর্ষের দিকে মোড় নিতে পারে। ইসরায়েল রিজার্ভ সেনা প্রস্তুত করেছে। এর মাধ্যমে তারা যুদ্ধ শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে। হামাস যদি আগামী শনিবারের (১৫ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে তিন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি না দেয়, তাহলে ইসরায়েল গাজায় আবার হামলা শুরু করবে—এমনই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি এখন এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে, যে কোনো মুহূর্তে সংঘর্ষ ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে।

গাজায় ১৫ মাস ধরে চলা এই সংঘাতে পুরো এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সেখানকার অধিকাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত, ঘরবাড়ি হারিয়েছে। খাবার, পানির সংকট তো রয়েছেই, আশ্রয়কেন্দ্রেরও অভাব। এমন অবস্থায় আবার যুদ্ধ শুরু হলে গাজার বাসিন্দাদের জীবন আরও কঠিন হয়ে যাবে।ন।ল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

তথ্য ভান্ডার

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮