চলো পাল্টাই—এই আহ্বান আমাদের সবার হওয়া উচিত… তবে আমার আহ্বানের সঙ্গে ভোটের কোনো সম্পর্ক নেই। আমার ডাক হলো নিজেকে বদলাবার ডাক। নেতিবাদকে দলে ফেলে ইতিবাদের শিখরে উত্তরণের ডাক। নতুন সমুদ্রতীরে তরি নিয়ে দিতে হবে পড়ি—এসেছে আদেশ। বন্দরের কাল হলো শেষ। কেন? পুরোনো সঞ্চয় নিয়ে ঘুরে ঘুরে এই বেচাকেনা আর চলবে না। দুনিয়া এগিয়ে চলেছে। চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, তারা—সবাই তাদের অবস্থান বদল করছে। নদী তার আপন বেগে পাগলপারা হয়ে ছুটে চলেছে। এই চলমান পৃথিবীতে থমকে দাঁড়িয়ে পড়া মানেই পিছিয়ে পড়া। তাই এগিয়ে চলুন। নিজেকে বদলান। নতুন যুগের চিন্তা-ভাবনার সঙ্গে সমঝোতা করুন। না, পুরাতন তার সবটাই গ্রহণীয় নয়, আবার সবটাই বর্জনীয় নয়। প্রতিটি পুরোনো ভাবনাকে নতুন চেতনার আলোকে বিশ্লেষণ করুন। তবে বস্তাপচা পুরোনো ধ্যান-ধারণার ওপর চেপে বসে থাকবেন না। সবার আগে নিজেকে গ্রহণ করতে শিখুন। অ্যাকসেপ্ট ইউরসেলফ। আপনি যেখানে, যেভাবে আছেন, ঠিক সেভাবেই নিজেকে গ্রহণ করুন। অন্যের সঙ্গে নিজের তুলনা করবেন না। নিজেকে অপারগ, অসফল, হতভাগ্য, পশ্চাদপদ, দুর্বল ভাববেন না। মনে রাখবেন, শান্ত সমুদ্র কখনো দক্ষ নাবিক তৈরি করে না। তরঙ্গায়িত, বিক্ষুব্ধ সমুদ্রই দক্ষ, লড়াকু নাবিক তৈরি করে। আপনি লড়াই করতে ভয় পাবেন না। ক্ষমতার কাছে নতজানু না থেকে যদি আপনি আপন জীবনধর্মে স্থিত থাকতে পারেন, তাহলে পরিবর্তনকে হাসিমুখে গ্রহণ করুন। আপনিও প্রজ্বলিত মশাল হোন, তখন সে মশাল থেকে বহুজন আলো পাবে। মশাল লক্ষ মশালকে আগুন বিতরণ করলেও তার আগুন কমে না। আপনার বিদ্যা এবং প্রজ্ঞা সবাইকে বিতরণ করুন, তা অফুরন্তই থাকবে। নিচের লোককে টেনে তুললে আপনার শক্তিই বাড়বে।
আপনার চেহারা যেমনই হোক না কেন, আপনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বাস্থ্যবান হতে পারেন। ধূমপান বন্ধ করুন। নিয়মিত মদ্যপান বর্জন করুন। পুষ্টিকর খাদ্য খান। রাত জাগবেন না। নিজের ওপর বিশ্বাস হারাবেন না। আর এ বিশ্বাস থেকেই নিজেকে পাল্টান—নেতিবাদ থেকে ইতিবাদের দিকে, দুর্নীতি থেকে সততার পথে, বাহুবলীর অহংকার থেকে যুক্তিবাদীর বিনয়-নম্র আচরণে, ঔদ্ধত্য থেকে নম্রতায়, প্রতিহিংসা থেকে ভালোবাসায়। বলুন, ‘মা, আমাকে পশু থেকে মানুষ করো। আমাকে পাল্টাও!’