তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, পাকিস্তানের ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি ও ভারতের অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম-আদমি পার্টির উত্থান কাঠামোর প্রতি দৃষ্টি রেখেই গড়ে তোলা হচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সংগঠনটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ বিষয়ে জানানো হয়।তিনি আরও বলেন, আমরা এখানে সাম্য, ন্যায়বিচার এবং সুশাসনের কথা বলছি। এটাকেই হাইলাইট করতে চাই। একইসঙ্গে একটা রাষ্ট্রে যে বিভিন্ন ধরনের মানুষ বসবাস করে, বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বসবাস করে, সেই বহুত্ববাদকে স্বীকার করেই কীভাবে একটা এগ্রিমেন্টের মধ্য দিয়ে এগোনো যায় যেভাবে আমরা অভ্যুত্থানে এগিয়েছি, সেটা হচ্ছে আমাদের মূল ফোকাস পয়েন্ট।
আখতার হোসেন বলেন, আমরা ডানের দিকেও ঝুঁকব না, বামের দিকেও ঝুঁকব না। সাম্য, ন্যায়বিচার, সুশাসনকে ঘিরে আমরা হবো একটা মধ্যপন্থি দল যেন আমরা সব ধরনের মানুষকে ধারণ করতে পারি।
আর এদিকে দলের হাল ধরতে চলতি মাসের শেষ দিকে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করতে পারেন নাহিদ ইসলাম।
দেশের বেসরকারি একটি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এমনটা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা যারা গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেছিলাম, মূলত ছাত্ররাই এটার নেতৃত্বে ছিল। ছাত্র এবং গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বে একটা নতুন রাজনৈতিক দলের পরিকল্পনা বা আলোচনা রয়েছে। সেই দলে যদি অংশগ্রহণ করতে হয় তবে অবশ্যই সরকারে থেকে সেটা সম্ভব না। সে দলে যদি আমি যেতে চাই তবে সরকার থেকে আমি পদত্যাগ করব।
তিনি বলেন, বর্তমানে যেহেতু সরকারে একটা স্থিতিশীলতা এসেছে, যদিও প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ হয়নি, কিন্তু সেটা চলমান আছে। আমাদের এখন রাজনৈতিক দলের কাজটা বেশি জরুরি। সেখানে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিন্তাভাবনা করছি। যদি সরকারে থাকার চেয়ে জনগণের সঙ্গে মাঠে কাজ করাটা বেশি জরুরি মনে হয় তাহলে আমি সরকার ছেড়ে দেব এবং হয়তো সে দলের প্রক্রিয়ায় যুক্ত হব।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ঘোষণা হয়েছে যে, এ মাসেই দল গঠন হবে। যদি তাই হয় তবে এ মাসেই সরকার ছেড়ে দলে অংশ নিব।
তিনি বলেন, আর কয়েক দিনের মধ্যেই একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সবাই পবেন, আপনারা জানতে পারবেন।