জলবায়ু নিয়ে ঢালাও রাষ্ট্রীয় বয়ানে পরিবর্তন আনতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। আজ রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে গুলশানে সুইডেন দূতাবাসের অর্থায়নে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের (এমজেএফ) ক্রিয়া প্রকল্প আয়োজিত জেন্ডার সমতা ও জলবায়ু জোট-বাংলাদেশের কনফারেন্সে এ মন্তব্য করেন তিনি।
‘উইমেন লিডিং দ্য ওয়ে : ইনফ্লুয়েন্সিং পলিসি অ্যান্ড কোলাবোরেটিভ ক্লাইমেট অ্যাকশন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা বলেন, জলবায়ু নিয়ে ঢালাও রাষ্ট্রীয় বয়ান দিয়ে আর হবে না। বয়ানে পরিবর্তন আনতে হবে। নীতিমালার মাধ্যমে চরম দুর্যোগপীড়িত এলাকার জন্য আলাদা করে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করতে হবে। এ নিয়ে বাজেটে আলাদা বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে।সেগুলোর মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন বলে মনে করেন পারভীন মাহমুদ। তিনি বলেন, পরিবর্তনের শুরুটা হতে হবে পরিবার থেকে।
আহসান উদ্দিন বলেন, নারীর বিপন্নতার কথা আমরা অনেক আগে থেকেই দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বলছি কিন্তু এখনো অগ্রগতিতে অনেক পিছিয়ে আছি। আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করে যেতে হবে।
মারিয়া স্ট্রিডসম্যান বলেন, আমাদের সব কাজ জেন্ডার লেন্স দিয়ে দেখতে হবে। যদি আমরা সহনশীল ও টেকসই ভবিষ্যৎ চাই, তাহলে অভিযোজনের কেন্দ্রে নারীকে রাখতে হবেই। আমি গণমাধ্যমকে অনুরোধ জানাব যেন তারা সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এ আলোচনাগুলো বেশি বেশি প্রচার করে।
কনফারেন্সে চর, হাওর, পার্বত্য এলাকা ও উপকূলীয় এলাকা থেকে আসা জেন্ডার সমতা ও জলবায়ু জোট-বাংলাদেশের প্রতিনিধি নিজ নিজ এলাকার সমস্যা ও সুপারিশ তুলে ধরেন।
সভাপ্রধানের বক্তব্যে এমজেএফের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় কিন্তু এ বিষয়ক নীতিমালা তৈরির সময় নারীদের কথা সাধারণত গুরুত্ব পায় না। তাই জেন্ডার সমতা ও জলবায়ু জোট-বাংলাদেশের মাধ্যমে আমরা নীতিমালা তৈরির জন্য একেবারে তৃণমূলের নারীদের বক্তব্য তুলে আনার চেষ্টা করছি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: শামসুদ্দোহা
শ্রীপুর,গাজীপুর
মোবাঃ +৮৮০ ১৭১৩৬৪৮৬৭১
Copyright © 2025 Dainik Somoyer Songbad. All rights reserved.