আওয়ামী লীগের ১০ এমপির গাড়ি কিনতে আগ্রহ দেখাননি কেউই। বাকি ১৩টি গাড়িতে কাস্টমস আইনে ৬০ শতাংশ দর না হাঁকায় নিলামে গাড়ি পাচ্ছেন না কেউ। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ২টায় দরপত্রের বাক্স খুলে কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ।
যাদের গাড়িতে কেউ দাম হাঁকায়নি সেগুলো হলো- বি. বাড়িয়া ১ আসনের এস এ কে একরামুজ্জামান, জামালপুর ৫ আসনের মো. আবুল কালাম আজাদ, ফরিদপুর-২ আসনের সৈয়দ সাজেদা চৌধুরী, ময়মনসিংহ-১১ আসনের মো. আব্দুল ওয়াহেদ, চট্টগ্রাম-১৫ আসনের আব্দুল মোতালেব, মহিলা আসনের সানজিদা খানম, ঢাকা-৭ আসনের মো. আলী আরাফাত, নওগাঁ-৩ আসনের সুরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, ঢাকা-১৯ আসনের মো. সাইফুল ইসলাম ও মহিলা আসনের রুনু রেজা।
সবশেষ তাদের দেওয়া তথ্যনুযায়ী, ১৩ এমপির গাড়িতে দর হেঁকেছেন ২৮ বিডার। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দর উঠেছে নীলফামারি-৩ আসনের সাবেক এমপি মো. সাদ্দাম হোসাইন পাভেল ও খুলনা-৩ আসনের এস এম কামাল হোসাইনের গাড়িতে। ৯ কোটি ৬৭ লাখ ৩ হাজার ৮৯৯ টাকা নির্ধারিত মূল্যের বিপরীতে ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা করে দর হাঁকিয়েছে এস এম আরিফ নামে এক ব্যক্তি।
রংপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. আসাদুজ্জামানের গাড়িতে সর্বোচ্চ দর উঠেছে ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। ইজি সার্ভিসেস লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান এ দর দেয়। এ ছাড়া মোহাম্মদ এয়াকুব চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি ৫০ লাখ টাকা এবং কেডিএস গ্রুপ সর্বনিম্ন ৩০ লাখ টাকা দর হাঁকিয়েছে।সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি মোহাম্মদ সাদিকের গাড়িতে সর্বোচ্চ দর ২ কোটি ১০ লাখ টাকা হাঁকিয়েছেন ফারাজ আবদুর রহিম নামে এক ব্যক্তি। এ ছাড়া কনকর্ড প্রগতি কন্সট্রাকশন ৫২ লাখ ৫৫ হাজার, অ্যাই কন্সট্রাকশন ৩৫ লাখ ৫০ হাজার, রেডিয়েন্ট বিজনেস কনসর্টিয়াম লিমিটেড ৩০ লাখ এবং ফারজানা ট্রেডিং ২ লাখ টাকা দাম দিয়েছে। সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি জন্নাত আর হেনরির গাড়িতে এস এ ট্রেডিংয়ের সর্বোচ্চ দর ৫ লাখ টাকা। সর্বনিম্ন ফারজানা ট্রেডিংয়ের দর ২ লাখ টাকা।
গাইবান্ধা-২ আসনের শাহ সরোয়ার কবিরের গাড়িতে তারাসিমা অ্যাপারেলস লিমিটেড ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা, কেডিএস গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ৩০ লাখ টাকা ও এস এ ট্রেডিং ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দর দিয়েছে। বগুড়া-৫ আসনের মো. মজিবুর রহমান মঞ্জুর গাড়িতে ল্যাবএইড লিমিটেড ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা, যশোর-২ আসনের মো. তৌহিদুজ্জামানের গাড়িতে ফারজানা ট্রেডিং ২ লাখ টাকা ও মহসিন মোহাম্মদ কবির ১ লাখ টাকা দর হাঁকিয়েছে। খুলনা-৩ আসনের এস এম কামাল হোসাইনের গাড়িতে এস এম আরিফ ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা ও ভ্যানগার্ড গার্মেন্টস ২ কোটি ৭ লাখ ১৫ হাজার টাকা দর দিয়েছে।
গাজীপুর-৫ আসনের আকতারুজ্জামানের গাড়িতে একমাত্র বিডার মহসিন মোহাম্মদ কবির। তার হাঁকানো দর ৫ লাখ টাকা। রংপুর-১ আসনের মো. আসাদুজ্জামানের গাড়িতে ইজি সার্ভিসেস লিমিটেড ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, মোহামম্দ এয়াকুব চৌধুরী ৫০ লাখ টাকা ও কেডিএস গার্মেন্টস-৩০ লাখ টাকা দর হাঁকিয়েছে।
নিলফামারী-৩ আসনের মো. সাদ্দাম হোসাইন পাভেলের গাড়িতে এস এম আরিফ ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা, ক্রয়ডন-কাউলুন ডিজাইন ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা, কেডিএস গার্মেন্টস ৩০ লাখ টাকা দর ধরেছে।
ময়মনসিংহ-৭ আসনের এবি এম আনিসুজ্জামানের গাড়িতে আল জাজিরা ট্রেডিং ৫ লাখ টাকা একমাত্র দরদাতা। নেত্রকোনা-৪ আসনের সাজ্জাদুল হাসানের গাড়িতে একমাত্র দরদাতা কেডিএস গার্মেন্টস। তাদের হাঁকানো দর ৩০ লাখ টাকা। মহিলা আসনের তারানা হালিমের গাড়ি এস এ ট্রেডিং ৫ লাখ টাকা দর দিয়েছে। মহিলা আসনের শাম্মি আহমেদের গাড়িতে কেডিএস গার্মেন্টস ৩০ লাখ টাকা, ফারজানা ট্রেডিং ৫ লাখ টাকা, এস এ ট্রেডিং ৫ লাখ টাকা দাম উঠেছে।
কাস্টমসের সহকারী কমিশনার মো. সাকিব হোসেন বলেন, ‘সংরক্ষিত মূল্যের ৬০ শতাংশ পর্যন্ত দর না আসায় সাবেক এমপিদের গাড়ি কেউ পাচ্ছে না। এ বিষয়ে নিলাম কমিটি পরে সিদ্ধান্ত নেবে।’
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: শামসুদ্দোহা
শ্রীপুর,গাজীপুর
মোবাঃ +৮৮০ ১৭১৩৬৪৮৬৭১
Copyright © 2025 Dainik Somoyer Songbad. All rights reserved.