• ঢাকা, বাংলাদেশ বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ০২:৩২ অপরাহ্ন
  • [কনভাটার]

পুলিশকে আইনের নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে

ডেস্ক রিপোর্ট। অনলাইন সংরক্ষণ / ৪০ জন দেখেছে
আপডেট : বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

পলাতক ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ছয় মাসেও নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন বলে মনে হয় না। কারও কারও মতে, অহমের আধিক্যে আক্রান্ত হয়ে ভুলের চক্করে হাসিনা সরকার ভুলের অলঙ্ঘনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তিনি বাস্তবতা অনুধাবনে ব্যর্থ হয়েছিলেন। আবার কারও মতে, বর্তমান সরকারের কোনো কোনো উপদেষ্টা কবিগুরুর গানের আবেশে আছেন, ‘আয় তবে সহচরী, হাতে হাতে ধরি ধরি নাচিবি ঘিরি ঘিরি, গাহিবি গান। আন্ তবে বীণা…।’ কিন্তু মাঠের বাস্তবতা মোটেই এরকম নয়। বরং বেশ জটিল। এরপরও হয়তো উপদেষ্টাদের কেউ ক্ষমতার মমতায় মোহাবিষ্ট হয়ে থাকতে পারেন। যে কারণে হয়তো তাদের মননে সামগ্রিক কঠিন বাস্তবতা সেভাবে ধরা দিচ্ছে না। তা না হয়ে তারা সেই কথা বিবেচনায় রাখতেন, ক্ষমতায় আহরণ মানে বাঘের পিঠে সওয়ার হওয়া। কখনো আবার এই বাঘ আগুনেরও হতে পারে। ক্ষমতাসীনদের পছন্দ না হলেও এটিই কিন্তু বাস্তবতা। শুধু তাই নয়, লিউ টলস্টয়ের উপন্যাসে প্রধান করণীয় প্রসঙ্গ যে বাণী দেওয়া আছে তাও সম্ভবত উপেক্ষিত হচ্ছে। অথবা কিশোরকালে পড়েছেন বলে বার্ধক্যে ভুলে গেছেন। যে কারণে প্রধান করণীয় পাশ কাটিয়ে সংস্কারের যেন চেইন শপ খোলা হয়েছে। এদিকে যেগুলো সরকারের জরুরি করণীয় তার সবই যে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, তা অনেকেই ক্রমাগত বলে আসছেন। একাধিক গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে, হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বিবিসি বাংলায় ৫ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত প্রতিবেদনের শিরোনাম হচ্ছে—‘সমালোচনা আর চাপের মুখে সরকারের সামনে যে ছয়টি বড় চ্যালেঞ্জ’। আন্তর্জাতিক এ গণমাধ্যমের উল্লিখিত প্রতিবেদন অনুসারে ছয়টি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে—নির্বাচন, রাজনৈতিক অবিশ্বাস, সংস্কার, বিচার, দ্রব্যমূল্য, বিনিয়োগ ও আইনশৃঙ্খলা।

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে সরকারের সামনে যে ছয়টি বড় চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করা হয়েছে তার মধ্যে এক নম্বর নির্বাচনের সঙ্গে ছয় নম্বর, মানে আইনশৃঙ্খলা ইউর সঙ্গে কিউর মতো সম্পৃক্ত। আরও সরলভাবে বলা চলে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় না নিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। কিন্তু এই আইনশৃঙ্খলা কোন দশায় আছে? একবাক্যে বলা চলে, অনেকটাই তলানিতে! এ ধারা চলমান রেখে আর যাই হোক, নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। আর এ পরিস্থিতি উত্তরণের কোনো আলামত দৃশ্যমান নয়। এমনকি বিশাল আওয়াজ দিয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি শুরু করা ডেভিল হান্ট থেকেও খুব একটা ফজিলত পাওয়ার লক্ষণ জাহেরে স্পষ্ট নয়। বাতেনে কী আছে তা এখনই বলা কঠিন। তবে নানান ধরনের কথা এরই মধ্যে চাউর হয়ে গেছে। আর এ অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার প্রসঙ্গ নিয়ে তো খোদ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাই প্রকারান্তরে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। বিশ্লেষকদের ধারণা, বিএনপি আমলে ২০০২ সালে ১৬ অক্টোবর থেকে ২০০৩ সালের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত পরিচালিত ক্লিন হার্ট অপারেশনের নানান সমালোচনা সত্ত্বেও বেশ সাফল্য এসেছিল। কিন্তু এবার ডেভিল হান্টে সাফল্যের আশা ক্ষীণ। ফলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির বিষয়ে পর্যবেক্ষকরা খুব একটা আশাবাদী হতে পারছেন না। আর বাস্তবতাও তাই। এ ছাড়া ইতিহাস বলে, এ ধরনের অপারেশনে সাবোসিটারের মতো সাময়িক প্রশমন দিলেও তা স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা নয়। স্মরণ করা যেতে পারে, ক্লিন হার্ট অপারেশন চলেছিল প্রায় তিন মাস। এরপর পরিস্থিতি সামলানোর জন্য পূর্বপরিকল্পনা অনুসারে র্যাবের কার্যক্রম শুরু হয়। সেই র্যাবেও যে নিত্যদিনের আইনশৃঙ্খলা খুব একটা কাজে এসেছে, তা কিন্তু নয়। আর এ বাহিনী গঠনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যে এ কথা বলাও হয়নি। এরপরও এই এলিট বাহিনীর বেশ অবদান আছে। অবশ্য নানান অপকর্মের হোতা হিসেবে গ্লানিতে নিমজ্জিত র্যাব এখন অনেকটা কার্তিক মাসের ডাহুকের মতো ঝিম মেরে আছে যে কোনো সময় প্রাণহীন হওয়ার আশঙ্কায়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

তথ্য ভান্ডার

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮