জনপ্রিয় পত্রিকা দৈনিক কালবেলার নাসিরনগর প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল মাহমুদের ওপর বিএনপি নেতার নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে কাজ করা বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশি জার্নালিস্ট ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া (বিজেআইএম)’।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সংগঠনটির ফেসবুক পেজে করা এক স্ট্যাটাসে এ নিন্দা জানানো হয়।এতে বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর নাসিরনগর উপজেলা শাখার সম্পাদক বশির উদ্দিন এবং তার অনুসারীরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে স্থানীয় শহীদ মিনারে জনসমাবেশ কভার করার সময় মাহমুদকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ রয়েছে। হামলার সময় বশির ও তার অনুসারীরা মাহমুদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় এবং তার সংবাদ সংগ্রহের সরঞ্জাম ধ্বংস করে। স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর মাহমুদ বাদী হয়ে নাসিরনগর থানায় একটি মামলা করেন। তবে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মামলাটি আনুষ্ঠানিকভাবে নথিভুক্ত করা হয়নি।
এই হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত শনাক্ত ও বিচার করতে এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানায় বিজেআইএম কর্তৃপক্ষ।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা ১৫ মিনিটে নাসিরনগর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আল মাহমুদকে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কেএম বশির উদ্দিন তুহিন মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে ১২টা এক মিনিটে মহান শহীদ আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস উপলক্ষে শহীদ মিনারে সংবাদ সংগ্রহ করতে যান সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। এ সময় শহীদ মিনারে উপস্থিত ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা জাতীয় নাগরিক কমিটির দুজনকে ছাত্রলীগ বলে পেটাতে থাকে। ঘটনাটি মোবাইল ফোনে ধারণ করতে গেলে বশির ও তার সমর্থকরা ওই সাংবাদিকের দিকে তেড়ে আসে। এ সময় বশির ওই সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নিয়ে প্রথমে রড দিয়ে আঘাত করে, পরে তার ভাতিজাসহ তার কর্মীরা রড-চাপাতিসহ উপর্যুপরি আক্রমণ করে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মী আরিফুল ইসলাম বলেন, সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে উপজেলা বিএনপির একজন দায়িত্বশীল নেতার দ্বারা সরাসরি হামলার শিকার হওয়া দুঃখজনক। আমরা এ ধরনের সন্ত্রাসীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
হামলার শিকার সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, নাসিরনগর প্রেস ক্লাবের সঙ্গে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে গিয়েছিলাম। সেখানে জাতীয় নাগরিক কমিটির দুজনকে ছাত্রলীগ বলে পেটানো হচ্ছিল। পেশাগত দায়িত্বের অংশ হিসেবে আমি সেখানে ফুটেজ সংগ্রহ করতে গিয়েছিলাম। হঠাৎ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দৌড়ে এসে মোবাইল কেড়ে নিয়ে আমার ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। পরে তার ভাতিজাসহ বশিরের দলীয় অনুসারীরা রড, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে থাকে।
এ ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি এমএ হান্নান ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কেএম বশির উদ্দিন তুহিন এবং নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: শামসুদ্দোহা
শ্রীপুর,গাজীপুর
মোবাঃ +৮৮০ ১৭১৩৬৪৮৬৭১
Copyright © 2025 Dainik Somoyer Songbad. All rights reserved.