ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে ইসরায়েল নতুন নির্দেশনা দিয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাদের আগামী এক বছর ধরে পশ্চিম তীরের শরণার্থী শিবিরগুলোতে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এই তথ্য জানিয়েছেন।রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাটজ বলেছেন, ইসরায়েলি সেনারা এক বছর ধরে অধিকৃত পশ্চিম তীরের শরণার্থী শিবিরে অবস্থান করবেন।
তিনি আরও জানান, ৪০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি ইতোমধ্যে জেনিন, তুলকারেম এবং নুর শামস শরণার্থী শিবির থেকে পালিয়ে গেছে। এই শিবিরগুলোতে ইউএনআরডব্লিউএর কার্যক্রমও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
কাটজ আরও বলেন, আমরা অতীতের বাস্তবতায় ফিরে যেতে চাই না। শরণার্থী শিবিরগুলিকে পরিষ্কার করার কাজ আমরা চালিয়ে যাব।
এর আগে শুক্রবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পশ্চিম তীরে সামরিক বাহিনীর কার্যক্রম আরও তীব্র করার নির্দেশ দেন।
তারও আগে তেলআবিব শহরতলির বাত ইয়ামে বাসগুলোর ওপর তিনটি বিস্ফোরণ ঘটে। তবে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানান, বিস্ফোরণে কোনো ক্ষতি হয়নি এবং বাসে তখন কোনো যাত্রী ছিল না।
এই ঘটনার পর শুক্রবার পশ্চিম তীরে সফরের সময় প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাটজ সংবাদিকদের বলেন, আমরা সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আমাদের লক্ষ্য উগ্রবাদী ইসলামি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়া এবং আমরা এখানে, গাজা এবং সব জায়গায় জয়ী হব।
কাটজ আরও বলেন, সন্ত্রাসবাদীদের জন্য স্পষ্ট বার্তা, আমরা তোমাদের নজরে রাখছি। কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা সন্ত্রাসবাদ পরিচালনায় যদি কারও সংশ্লিষ্টতা থাকে, তবে তাদের কঠোর মূল্য দিতে হবে।
উল্লেখ্য, ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতির পর ২১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া পশ্চিম তীরের অভিযানে ইতোমধ্যে অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। অভিযানের ফলে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনারা গুলি করে মানুষ হত্যা, ঘরবাড়ি ধ্বংস এবং অবকাঠামো ধ্বংস করছে, যা ফিলিস্তিনিদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনিদের পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন অবকাঠামোতে মারাত্মক ক্ষতি করেছে, যার ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন এবং স্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর বিপদ সৃষ্টি হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: শামসুদ্দোহা
শ্রীপুর,গাজীপুর
মোবাঃ +৮৮০ ১৭১৩৬৪৮৬৭১
Copyright © 2025 Dainik Somoyer Songbad. All rights reserved.