• ঢাকা, বাংলাদেশ বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৫:৩৪ অপরাহ্ন
  • [কনভাটার]

‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নাগরিক প্রতিরোধ কমিটি গড়ে তুলুন’

ডেস্ক রিপোর্ট। অনলাইন সংরক্ষণ / ৩৪ জন দেখেছে
আপডেট : সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, আইনশৃঙ্খলার নাজুক পরিস্থিতির দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করে দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করা উচিত। সেসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এলাকায় সব দলের সমন্বয়ে নাগরিক প্রতিরোধ কমিটি গড়ে তোলার প্রস্তাব দেন।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে চরমোনাই পীর দেশের বিদ্যমান চরম নাজুক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এমন মন্তব্য করেন।চরমোনাই পীর বলেন, স্বৈরাচার পতনের ছয় মাসের বেশি সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পরও দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে তা গ্রহণযোগ্য না। রাষ্ট্রের কাছে মানুষের প্রথম ও প্রধান চাওয়া হলো নিরাপত্তা, সেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না বলে রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয়তা নিয়েই জনমনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। এ অবস্থা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও দেশের জন্য কল্যাণকর নয়।

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আমরা জানি যে, পুলিশ প্রশাসনে স্বৈরাচারের অবশিষ্টাংশ থাকতে পারে যারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যথাযথ পদক্ষেপ হয়তো নিচ্ছে না। কিন্তু সরকারকে মনে রাখা লাগবে, এ সরকার দেশের কোটি কোটি বিপ্লবী জনতা সমর্থিত সরকার, যে জনতা স্বৈরাচারের পালের গোদাকে দেশ ছাড়া করেছে। ফলে স্বৈরাচারের কোনো অবশিষ্টাংশ প্রশাসনে থেকে গেলে তাদের এত দিনেও ছুড়ে ফেলা গেল না কেন? কেন স্বৈরাচারের অপকর্মের হোতাদের এখনো প্রশাসন থেকে সমূলে উচ্ছেদ করা যায়নি? কোথায় দুর্বলতা? জাতি জানতে চায়।চরমোনাই পীর বলেন, পতিত আওয়ামী শক্তি পরিকল্পনা করে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা করতে পারে। তবে সেটা প্রতিহত করার দায়িত্ব সরকারের। সে দায়িত্ব নিতেই হবে।

তিনি দেশের সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান রেখে বলেন, আমাদের কর্ম এখনো শেষ হয়নি। স্বৈরাচারের মূল হোতা উচ্ছেদ হলেও তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা এখনো দেশে ও প্রশাসনে থেকে গেছে। তারা দেশকে ধ্বংস করার হীন কৌশল অব্যাহত রেখেছে। এমন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনৈক্য দেখা দিলে তারা আবারও গেড়ে বসার চেষ্টা করবে। তার লক্ষণও দেখা যাচ্ছে। তাই নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করুন কিন্তু রেষারেষি ও হানাহানি করবেন না।

তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এলাকায় সব দলের সমন্বয়ে নাগরিক প্রতিরোধ কমিটি গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়ে বলেন, স্বৈরাচারের পতন হয়েছিল আমাদের পারস্পরিক ঐক্য ও লড়াইয়ের মাধ্যমে। আবারও যদি আমরা সম্মিলিতভাবে ঐক্য গড়ে তুলি তাহলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও ভালো হতে বাধ্য। ইনশাআল্লাহ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

তথ্য ভান্ডার

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮