• ঢাকা, বাংলাদেশ শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ১০:১২ পূর্বাহ্ন
  • [কনভাটার]

নাহিদের অ্যাকাউন্টে কত টাকা?

ডেস্ক রিপোর্ট। অনলাইন সংরক্ষণ / ১৮ জন দেখেছে
আপডেট : বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার পদ থেকে গতকাল মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) পদত্যাগ করেছেন মো. নাহিদ ইসলাম। তিনি তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছিলেন। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করতে যাচ্ছে। এই দলের নেতৃত্ব দেবেন নাহিদ ইসলাম। সে কারণে তিনি উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।

পদত্যাগের পর তার সম্পর্কে গুজব ছড়ানো হয় সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে। সেসব পোস্টে তার বিরুদ্ধে বিপুল অর্থ আত্মসাতের কথা উল্লেখ করা হয়। তার প্রতিউত্তরে নাহিদ ইসলাম তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হিসাব দিলেন। সেখানে তার সোনালী ব্যাংকের ব্যাংক স্টেটমেন্ট ছবি যুক্ত করেন।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে তার ফেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তার হিসাব তুলে ধরে একটি পোস্ট দেন।

তিনি লেখেন, উপদেষ্টা পদে যোগদানের আগে আমার কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছিল না। ২১ আগস্ট উপদেষ্টা পদে দায়িত্ব পালনের জন্য সম্মানী গ্রহণের লক্ষ্যে সরকারিভাবে সোনালী ব্যাংকে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলি। ওই অ্যাকাউন্টে ২১ আগস্ট ২০২৪ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত লেনদেনের হিসাব জনগণের কাছে উপস্থাপন করছি।

তিনি আরও লেখেন, ওই হিসাবে ১০,০৬,৮৮৬ (দশ লাখ ছয় হাজার আটশত ছিয়াশি) টাকা জমা হয়েছে এবং ৯,৯৬,১৮৮ (৯ লাখ ছিয়ানব্বই হাজার একশত আটাশি) টাকা উত্তোলিত হয়েছে। উল্লেখ্য, সোনালী ব্যাংকের এ অ্যাকাউন্টটি ছাড়া আমার অন্যকোনো অ্যাকাউন্ট নেই।

নাহিদ ইসলাম লেখেন, উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন, আমার বা আমার পরিবারের কোনো সদস্যের (স্ত্রী/মা/বাবা) নামে বাংলাদেশের কোথাও জমি বা ফ্ল্যাট নেই বা আমার বা আমার পরিবার কর্তৃক ক্রয় করা হয়নি।

সাবেক তথ্য উপদেষ্টা বলেন, আমার একান্ত সচিবের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ-এর হিসাবে ৩৬,০২৮ (ছত্রিশ হাজার আটাশ) টাকা রয়েছে। উনি একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ওনার নিজের নামে বা ওনার পরিবারের (স্ত্রী/মা/বাবা) কারো নামে বাংলাদেশের কোথাও কোনো সম্পত্তি ক্রয় করা হয়নি।

তিনি লেখেন, এ ছাড়া আমার ব্যক্তিগত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট যে কারও সম্পদের স্বচ্ছ হিসাব রয়েছে। প্রয়োজনে উন্মুক্ত করা হবে।

তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ অনুযায়ী বাংলাদেশের যে কোনো সরকারি দপ্তরে ওই তথ্য যাচাইযোগ্য বলেও উল্লেখ করেন তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

তথ্য ভান্ডার

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮