দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কমেছে প্রকারভেদে কেজিতে ১৫ থেকে ১৬ টাকা। এতে স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাসাধারণের মাঝে।
স্থানীয় পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পেঁয়াজের আশানুরূপ উৎপাদন ও ফলন ভালো হওয়ায় দাম কমে এসেছে স্থানীয় হাটবাজারে।
শনিবার (৮ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে পাইকারি ও খুচরা সবজি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, রমজান মাস শুরুর দিকে স্থানীয় হাটবাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে বিক্রি হচ্ছে প্রকার ভেদে ২৪ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে।
পেঁয়াজ কিনতে আসা শিক্ষক মো. কামরুজ্জামান বলেন, প্রতি বছর রমজানের শুরুতে অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে পেঁয়াজের দামও বেড়ে যায়। কিন্তু এ বছর তার উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে। পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির চেয়ে কমে এসেছে। এতে নিম্ন আয়ের মানুষ স্বস্তিতে কেনাকাটা করতে পারছেন।
ফুলবাড়ী পৌরশহরের ডুঙ্গি হোটেলের স্বত্বাধিকারী উজ্জ্বল মোহন্ত বলেন, রমজান মাসে ইফতার তৈরিতে পেঁয়াজের বেশি প্রয়োজন হয়। এ জন্য দামও বেড়ে যায়। কিন্তু এ বছর দাম কমে এসেছে। এতে করে ভালো মানের ইফতারসামগ্রী তৈরি এবং বিক্রি করা যাচ্ছে।
ফুলবাড়ী পৌরশহরের পেঁয়াজের পাইকারি ব্যবসায়ী অজয় দত্ত, সামসুল হক ও কালু কান্ত দত্ত বলেন, ফরিদপুর, পাবনা, কুষ্টিয়া, নাটোরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকারি দামে কিনে এনে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করছেন। এতে দাম কমে এসেছে। দাম কমে আসায় বিক্রি বেড়ে গেছে কয়েকগুণ বেশি। এতে লাভ হচ্ছে আশানুরূপ।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মাদ জাফর আরিফ চৌধুরী বলেন, নিত্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার তদারকি অব্যাহত রাখা হয়েছে।