• ঢাকা, বাংলাদেশ শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৯:১৫ অপরাহ্ন
  • [কনভাটার]
শিরোনাম:
গাজীপুরে চাঁদা না দেওয়ায় গ্যাস লাইনের অনুমতিত কাজে বাধার পর মারধর মুরগিতে স্বস্তি, কমছে লেবু-শসা-বেগুনের দামও চাঁদপুরে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ গৃহবধূর মৃত্যু থানায় ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ৬ পুলিশ সদস্য রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরাতে প্রয়োজনে সারা দুনিয়ার সঙ্গে লড়াই করবো: প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে শেখ হাসিনার সরকার রাজনীতি করেছে : ফারুক জামায়াতকে মানুষ নেতৃত্বে দেখতে চায় : রফিকুল ইসলাম খান আরও ২শ ট্রাইব্যুনাল গঠনের আহ্বান জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের গরম নিয়ে দুঃসংবাদ দিল আবহাওয়া অফিস এসির ভেতর বাসা বেঁধেছে সাপ, পরিষ্কার করতে গিয়ে হতবাক যুবক

বিচারহীনতার কারণেই নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা থামছে না : ইউট্যাব

ডেস্ক রিপোর্ট। অনলাইন সংরক্ষণ / ২৭ জন দেখেছে
আপডেট : রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫

বিচারহীনতার কারণেই নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা থামছে না বলে মন্তব্য করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)।

রোববার (০৯ মার্চ) সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন।

বিবৃতিতে তারা বলেন, আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি যে, সম্প্রতি দেশজুড়ে নারীদের প্রতি সহিংসতা ও হেনস্থার ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। জীবনে চলার পথে নিত্যদিনই নারীরা যেমন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, তেমনি অনলাইনেও তারা সাইবার বুলিংসহ বিরূপ আচরণের শিকার হচ্ছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট এবং শপিংমল ও কর্মস্থল থেকে আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে শিশু, ছাত্রী এবং নারী শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার নারীদের শ্লীলতাহানি এবং হেনস্থা করা হচ্ছে। ধর্ষণ ও নির্যাতনের মাধ্যমে নারীদের হত্যা করার মতো নির্মম ও জঘন্য ঘটনাও ঘটছে।

ইউট্যাবের নেতারা বলেন, দেশে একের পর এক নারীকে হেনস্থা ও আক্রমণ এবং সামগ্রিক বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি গড়ে উঠছে, তা রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতা ও সম্প্রীতির জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর বিচারহীনতার এহেন সংস্কৃতির কারণেই নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা থামছে না বলে অনেকেই মনে করছেন। সামাজিক অবক্ষয়ের মাধ্যমে কেন আজ নারীদের মর্যাদা ও নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং এর পেছনে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ষড়যন্ত্র রয়েছে কি না, সেটি যাচাই করা প্রয়োজন। এই অসভ্যতা ও সহিংসতার পেছনে কোনো উগ্রগোষ্ঠীর উসকানি বা মদদ থাকতে পারে, যারা দেশকে অস্থিতিশীল করে ফায়দা লোটার অপচেষ্টা করছে।

তারা বলেন, আমরা শিক্ষক সমাজের পক্ষ থেকে ধারাবাহিকভাবে ঘটে চলা নারী নির্যাতনের এই প্রতিটি ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং দোষীদের অবিলম্বে যথাযথ শাস্তির দাবি করছি। নারীদের সম্মান ও স্বাধীনতা রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব, যা তাদের সংবিধান অনুযায়ী স্বীকৃত অধিকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান- নারী নির্যাতনসহ সব নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি কঠোরভাবে দমন করে দেশে ন্যায়বিচার এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।

নেতারা বলেন, নারীদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও পুরুষদের সঙ্গে প্রতিযোগিতার সমান সুযোগে সমাজের অগ্রগতি ও রাষ্ট্রের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। বদলে যাওয়া বিশ্বের কর্মপরিবেশে নারীর সরব উপস্থিতি নিশ্চিত করতে আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে। কেন না, শান্তি, নিরাপত্তা, মানবাধিকার এবং টেকসই উন্নয়নে বৈশ্বিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে অপরিহার্য শর্ত হলো- নারীর অধিকার। নারী সমাজ যাতে অবহেলা, নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার এবং ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে সবার সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। বৈশ্বিক কর্মযজ্ঞে নারীর সমতায়ন এখন সর্বপ্রথম এজেন্ডা হওয়া উচিত।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

তথ্য ভান্ডার

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১