• ঢাকা, বাংলাদেশ শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন
  • [কনভাটার]

গাণিতিক সূত্রে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব প্রমাণ সম্ভব, দাবি বিজ্ঞানীর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক। অনলাইন সংরক্ষণ / ১৫ জন দেখেছে
আপডেট : সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানী ড. উইলি সুন দাবি করেছেন, গাণিতিক সূত্রের মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব প্রমাণ করা সম্ভব। সম্প্রতি টাকার কার্লসন নেটওয়ার্কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি তার গবেষণা তুলে ধরেন।

শনিবার (৮ মার্চ) সম্প্রচার মাধ্যম সিএনবিসি টিভি ১৮-এর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

ড. সুনের গবেষণা ‘ফাইন-টিউনিং’ বা সূক্ষ্ম সামঞ্জস্য তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এই তত্ত্ব অনুযায়ী, পদার্থবিজ্ঞানের নিয়মগুলো এতটাই নিখুঁতভাবে সাজানো যে, তা কেবল দৈবক্রমে (কাকতালীয়ভাবে) হতে পারে না।

তার মতে, মহাকর্ষ, আলোর গতি ও অন্যান্য প্রাকৃতিক নিয়মগুলো সামান্যতম পরিবর্তন হলে জীবনের অস্তিত্ব অসম্ভব হয়ে যেত। এত নিখুঁতভাবে সবকিছু সাজানো থাকার কারণ হতে পারে একজন সৃষ্টিকর্তার পরিকল্পনা।

ড. সুন তার গবেষণায় ১৯৬৩ সালে বিখ্যাত পদার্থবিদ পল ডিরাকের তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করেছেন। ডিরাক বলেছিলেন, মহাবিশ্বের নিয়মগুলো এতই নিখুঁত ও গাণিতিকভাবে সংগঠিত যে, এটি কোনো বুদ্ধিমান সত্তার পরিকল্পনার ফল হতে পারে।

ড. সুন বলেন, আমাদের পৃথিবী ও মহাবিশ্বের নিয়মগুলো এতটাই নিখুঁত যে, এটি মনে করিয়ে দেয়- সৃষ্টিকর্তা অত্যন্ত দক্ষ একজন গণিতবিদ, যিনি উন্নত গাণিতিক সূত্র দিয়ে এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন।

ড. সুনের গবেষণা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অনেকে মনে করেন, এটি ধর্ম ও দর্শনের সঙ্গে সম্পর্কিত, কিন্তু বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণ করা কঠিন। তবে ড. সুন বিশ্বাস করেন, আমাদের অস্তিত্ব কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয়, বরং এটি সুপরিকল্পিত সৃষ্টি।

বিজ্ঞান ও ধর্মের সম্পর্ক নিয়ে ড. উইলি সুনের গবেষণা নতুন আলোচনা তৈরি করেছে। তবে এটি কি সত্যিই সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের প্রমাণ, নাকি শুধু একটি দার্শনিক ব্যাখ্যা? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

তথ্য ভান্ডার

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১