প্রশাসনের কর্তৃত্ব না থাকায় নারী ধর্ষণ বেড়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ঘটনার আগেরগুলোর বিচার হতো, তাহলে এই পরিস্থিতি তৈরি হতো না।
সোমবার (১০ মার্চ) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে আয়োজিত এক র্যালি ও সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশ শেষে র্যালিটি বিএনপি অফিসের সামনে থেকে কাকরাইল মোড়, প্রেস ক্লাবের সামনে হয়ে আবারও বিএনপি অফিসের সামনে ফিরে আসে।
এ সময় মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, যে শিশু বোনের বাড়িতে নিরাপদ নয়, তাহলে আর কোথায় নিরাপদ হবে? প্রশাসন যদি আগের ঘটনাগুলোর বিচার করত তাহলে এমন ঘটনা ঘটত না। ১৫ বছর তো শেখ হাসিনা সব কিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। মানুষ নৈতিকতা শিখে পরিবার আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে। কিন্তু শেখ হাসিনা ১৫ পাঠ্য বইয়ে শুধু তার পিতা-মাতা ভাই বোনের ইতিহাস যুক্ত করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পড়িয়েছেন। এমনকি তার ভাই ব্যাংক ডাকাতের গল্প পড়িয়েছেন যেন মহাভারত রামায়ণের মতো করে। বড় হয়ে সেই শিশুরা শুনেছে সে ব্যাংক ডাকাত। তাহলে নৈতিকতা কি হবে?
তিনি বলেন, অবৈধ সম্পদ সমাজে বিশৃঙ্খলা ও অপকর্মে সহায়তা করে। কারণ আওয়ামী লীগের মন্ত্রী- এমপিরা তো হাজার কোটি টাকা লুট করেছে। আর তারা দুর্নীতিবাজ, লুটপাটকারীদের এমপি মন্ত্রী বানিয়ে ১৫ বছর অরাজকতা প্রতিষ্ঠা করেছিল।
রিজভী আরও বলেন, আজকে ধর্ষণের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। নারীরা এখন নিরাপদ নয়। ওই শিশুর জন্য আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সমস্ত আইনি দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি দ্রুত গতিতে নারী নেত্রীদেরকে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
বিএনপির সিনিয়র এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, তৃণমূলে, ওয়ার্ডে, থানায় প্রশাসনের কর্তৃত্ব প্রয়োগ হচ্ছে না কেনো। এটা তো একটা বড় প্রশ্ন। এর দায় পড়বে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপরে। আমরা কোনো অভিযোগ করলে অন্তর্বর্তী সরকার সেটা ব্যক্তিগতভাবে নেয়। এরপরে কোনো কোনো ক্ষেত্রে কৌশলে প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করে।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, শুনছি, ডিসি অফিস, এসপি অফিস, মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন জায়গায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা তদারকি করছে। এটা তো তাদের কাজ নয়। বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে, তেমনি ছাত্ররা ক্যাম্পাসে। কেউ অন্যায় করলে আপনারা ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ করুন। আপনার জায়গা ক্যাম্পাস, আপনার হাতে বই থাকবে। এসপির রুমে গিয়ে তদারকি করা আপনার কাজ নয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: শামসুদ্দোহা
শ্রীপুর,গাজীপুর
মোবাঃ +৮৮০ ১৭১৩৬৪৮৬৭১
Copyright © 2025 Dainik Somoyer Songbad. All rights reserved.