বছর না হতেই পর্তুগিজ প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টিনিগ্রোর সরকার আস্থা ভোটে হেরে গেছে। এতে প্রায় নিশ্চিতভাবেই দেশটিতে মাত্র তিন বছরের মধ্যে তৃতীয় সাধারণ নির্বাচন হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার।
পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো ডি সুসা যদিও সংসদ ভেঙে দিতে বাধ্য নন। তবুও তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে- মঙ্গলবারের (১১ মার্চ) ভোটে সরকার হেরে গেলে তিনি তা করবেন। প্রেসিডেন্টের সেই সম্ভাবনা সত্য প্রমাণিত করলেন সংসদ সদস্যরা। তারা ১৪২ ভোটের মধ্যে ৮৮ ভোট লুইসের বিরুদ্ধে দেন। কোনো সদস্য ভোটদানে বিরত থাকেননি। ফলে লুইস মন্টিনিগ্রোর মধ্যম-ডানপন্থি সরকারের বিদায় সময়ের ব্যাপার মাত্র।
ঘোষণা অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট মার্সেলো সংসদ বিলুপ্ত করলে মে মাসে নতুন নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে।
বিরোধী সমাজতান্ত্রিকরা লুইস মন্টিনিগ্রোর ব্যবসায়িক লেনদেনের বিষয়ে সংসদীয় তদন্তের পরিকল্পনা ঘোষণা করে। এরপর চাপের মুখে সরকার নিজেই আস্থা ভোটের প্রস্তাবটি উত্থাপন করে।
মন্টিনিগ্রোর মধ্য-ডানপন্থি ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স জোট ২০২৪ সালের মার্চ মাসে নির্বাচনে জয়লাভ করে। দেশের ২৩০ আসনের আইনসভায় মাত্র ৮০টি আসন পেয়েছিল তারা। পূর্বে সরকার পরিচালনাকারী সমাজতান্ত্রিক দল ৭৮টি আসন জিতে। বিপরীতে পর্তুগালের কট্টর-ডানপন্থি চেগা দল ৫০টি আসন পায়। এর আগের নির্বাচনে তারা কেবল ১২টি আসন দখলে রাখতে পেরেছিল। সর্বশেষ নির্বাচনে এর চেয়ে চারগুণ বেশি আসন পেয়ে তারা রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
সেই সময়, মন্টিনিগ্রো চেগার সঙ্গে সরকার গঠনের সম্ভাবনা প্রত্যাখ্যান করেন। চেগা অভিবাসন-বিরোধী প্ল্যাটফর্মে প্রচারণা চালিয়ে ভোট পায়। তিনি এ নীতিধারী দলের সঙ্গে কাজ করবেন না বলে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন।
ফলে কোয়ালিশনের বদলে এককভাবে সরকার গঠন করেন মন্টিনিগ্রো। কিছু দিন পরই তার সরকার সংসদে কোণঠাসা হয়ে পড়ে। ফলে সরকার আস্থা ভোটে হারায় আরেকটি নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে পর্তুগাল।