ভারতে এক ব্রিটিশ নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। দিল্লির একটি হোটেলে তাকে ধর্ষণা করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে পুলিশের বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাতে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে এক ইসরায়েলি নারী পর্যটক সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় দেশটিতে থাকা বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সোমবার (১০ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে, ভয়াবহ এ ঘটনার পর বহু বিদেশি পর্যটক ঐতিহাসিক পর্যটন স্থান হাম্পি ছেড়ে চলে গেছেন। এরই মধ্যে আবারও বিদেশিকে ধর্ষণের খবর এলো।
এনডিটিভির প্রতিবেদন মতে, ইনস্টাগ্রামে কৈলাস নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় ব্রিটিশ নারীর। এ সূত্রে ওই নারী দেখা করতে ভারতে আসেন। কিন্তু বন্ধুত্বের অমর্যাদা করেন কৈলাস। মহিপালপুরের একটি হোটেলে ধর্ষণ করা হয় ওই ব্রিটিশ নারীকে। পুলিশ অভিযুক্ত কৈলাসকে ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার করেছে এবং তার বন্ধু ওয়াসিমের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের পর্যটককে শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই নারী মহারাষ্ট্র এবং গোয়াতে ছুটি কাটাতে ভারতে এসেছিলেন। তিনি সেখান থেকে কৈলাসকে ফোন করে তার সাথে যোগ দিতে বলেন। কৈলাস জানান, তিনি ভ্রমণ করতে পারবেন না এবং নারীকে দিল্লিতে আসতে বলেন। ভুক্তভোগী মঙ্গলবার দিল্লিতে পৌঁছে মহিপালপুরের একটি হোটেলে অবস্থান করছিলেন। তিনি কৈলাসকে ফোন করে সেখানে দেখা করতে বলেন। কৈলাস তার বন্ধু ওয়াসিমকে সাথে নিয়ে হোটেলে যান। সেখানে তারা গল্প করে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। এরপর রাত গড়ালে কৈলাস ওই নারীকে ধর্ষণ করেন।
পরের দিন সকালে ভুক্তভোগী বসন্ত কুঞ্জ থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ব্রিটিশ হাইকমিশনকে ঘটনাটি জানায় এবং তারাও ব্রিটিশ নাগরিককে সহায়তা করছে।
জানা গেছে, কৈলাস একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। ভুক্তভোগী পুলিশকে জানান, কৈলাস ইংরেজি বলতে পারেন না। ইনস্টাগ্রামে যোগাযোগ করার জন্য গুগল ট্রান্সলেট ব্যবহার করতেন অভিযুক্ত।