• ঢাকা, বাংলাদেশ শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০১:১৫ পূর্বাহ্ন
  • [কনভাটার]
শিরোনাম:

আরও ২শ ট্রাইব্যুনাল গঠনের আহ্বান জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের

ডেস্ক রিপোর্ট। অনলাইন সংরক্ষণ / ১৯ জন দেখেছে
আপডেট : শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫

দেশে বিদ্যমান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালগুলো নানা কারণে তাদের প্রত্যাশিত কার্য সম্পাদন করতে পারছেন না বলে মনে করে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। অ্যাসোসিয়েশন দেশে বিদ্যমান মামলা এবং বাস্তবতা বিবেচনায় এবং নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতার দ্রুত বিচারের স্বার্থে অবিলম্বে কমপক্ষে আরও ২০০টি ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল’ গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আহ্বান জানিয়েছে।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আমিরুল ইসলাম ও মহাসচিব মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তারা এ আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নারীর প্রতি সহিংসতা, নির্যাতন ও নিপীড়ন দমন ও দ্রুত বিচার নিশ্চিতে সরকার ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০’ প্রণয়নপূর্বক বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো- ২৫ বছর পেরিয়ে গেলেও যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আইনটি করা হয়েছিলো তা পরিপূর্ণ বাস্তবায়িত হয়নি। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বেশ কিছু ধর্ষণের ঘটনা আমাদের সবাইকে ব্যথিত করেছে। দেশের সচেতন ছাত্র-জনতা ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে। এমন গর্হিত অপরাধের পুনরাবৃত্তিতে ‘বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন’ তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বিদ্যমান বিচার ব্যবস্থার মূল সমস্যা হচ্ছে অপরাধ প্রমাণ করার ক্ষেত্রে যেসব স্টেকহোল্ডার আছে তারা অনেক ক্ষেত্রেই সমন্বিত উপায়ে কাজ করতে পারছেন না। নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার বিচারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে মামলার সংখ্যার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশে পর্যাপ্ত সংখ্যক ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল’ না থাকা। আবার বিদ্যমান ট্রাইব্যুনালের বিচারকরা ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল’-এর মামলার পাশাপাশি ‘শিশু আদালত’ ও ‘মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল’-এর বিচারক হিসেবেও অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। সারা দেশে ১ লাখ ৫১ হাজার ৩১৭ হাজার মামলার বিপরীতে মাত্র ১০১টি ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল’ রয়েছে। সে হিসাবে গড়ে প্রতিটি ট্রাইব্যুনালে প্রায় ১,৫০০টি মামলা বিচারাধীন আছে। উপরন্তু ট্রাইব্যুনালে পর্যাপ্ত সংখ্যক সহায়ক কর্মচারীর পদ সৃজন করা হয়নি। এসব কারণে বিদ্যমান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালগুলো তাদের প্রত্যাশিত কার্য সম্পাদন করতে পারছেন না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

তথ্য ভান্ডার

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১