চাঁদপুর শহরে গ্যাসের চুলার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ৬ জনের মধ্যে খাদিজা আক্তার (২৮) নামে এক গৃহবধূ মারা গেছেন।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) দুপুরে রাজধানী ঢাকার জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন তাদের স্বজন মনির হোসেন।
এরআগে, গত রোববার (৯ মার্চ) ভোররাতে সেহরির সময় শহরের কোড়ালিয়া এলাকার রুস্তম আলীর বাসার চতুর্থ তলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে মোট ৬ জন আগুনে দগ্ধ হন। তারমধ্যে গৃহবধূ খাদিজা আক্তারের শ্বাসনালীসহ শরীরের ৮৫ ভাগ পুড়ে যায়।
আগুনে পুড়ে আহত অন্যরা হলেন: খাজিদা আক্তারের স্বামী হোসেন সর্দার (৩৫), তার ছোটভাই মিরাজ সর্দার (৩২), আরেক ছোটভাই বাকপ্রতিবন্ধী মহিন সর্দার (১৫), তাদের বাবা রহমান সর্দার (৬৫) ও মা শাহনাজ বেগম (৫৫)।
এদের মধ্যে বৃদ্ধ রহমান সর্দার, তার স্ত্রী শাহনাজ বেগম ও বাকপ্রতিবন্ধী সন্তান মহিন সর্দার জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া হোসেন সর্দার ও তার ভাই মিরাজ সর্দার অনেকটা সুস্থ হওয়ায় তারা হাসপাতাল ছেড়েছেন। তবে ওই ৩ জনের অবস্থাও তেমন ভালো না। জানিয়েছেন, তাদের আরেক স্বজন হযরত আলী বেপারী।
গত রোববার (৯ মার্চ) ভোররাতে সেহরির খাবার গরম করার সময় গ্যাসের চুলা জ্বালানো মাত্রই রান্নাঘর ও তার আশপাশের আরও কয়েকটি কক্ষে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দগ্ধ হন ৬ জন। তাদের সঙ্গে বাসার আসবাবসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। এরমধ্যে চুলা জ্বালানোর শুরুতেই বিকট শব্দে গোটা ভবন কেঁপে ওঠে। এ সময় ওই ভবনের অন্য ফ্ল্যাটের প্রতিবেশী এবং এলাকার লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন। পরে আহতদের প্রথমে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৪ জনকে ঢাকায় জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়।
এ দুর্ঘটনার সময় তাৎক্ষণিক ফায়ারসার্ভিস ঘটনাস্থলে আসেনি, এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর। তবে ঘণ্টা তিনেক পরে ফায়ারসার্ভিসকর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে পরীক্ষানিরীক্ষা করে নিশ্চিত হয় যে, গ্যাস লিকেজ ত্রুটির কারণে এমন দুর্ঘটনা ঘটে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: শামসুদ্দোহা
শ্রীপুর,গাজীপুর
মোবাঃ +৮৮০ ১৭১৩৬৪৮৬৭১
Copyright © 2025 Dainik Somoyer Songbad. All rights reserved.