ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শেষ করতে একটি চুক্তির জন্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে নিজেদের দাবিনামার তালিকা পেশ করেছে রাশিয়া। বিষয়টি সম্পর্কে জ্ঞাত দুই ব্যক্তি রয়টার্সকে এ তথ্য জানান।
রয়টার্স লিখেছে, প্রকৃতপক্ষে মস্কো তাদের তালিকায় কী অন্তর্ভুক্ত করেছে এবং তারা ওয়াশিংটনের দেওয়া শান্তি প্রস্তাব মেনে নেওয়া কিয়েভের সঙ্গে আলোচনায় বসতে ইচ্ছুক কি না, তা পরিষ্কার হয়নি।
ওই দুই ব্যক্তি জানান, রুশ ও মার্কিন কর্মকর্তারা তিন সপ্তাহ ধরে ব্যক্তিগতভাবে এবং ভার্চুয়ালি কথা বলার সময় ওই শর্তগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
তারা জানান, ক্রেমলিনের শর্তের আওতা বিস্তৃত এবং তারা আগেও ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর কাছে যেসব দাবি উত্থাপন করেছিল, নতুনগুলোও প্রায় একই।
আগে রাশিয়া যেসব শর্ত দিয়েছিল সেগুলো ছিল, কিয়েভকে ন্যাটোর সদস্যপদ না দেওয়া, ইউক্রেনে বিদেশি সেনা মোতায়েন করা হবে না মর্মে সমঝোতা এবং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দাবিকৃত ক্রিমিয়া ও ইউক্রেনের চারটি প্রদেশ রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত—এটি মেনে নেওয়া। কয়েক বছর ধরে রাশিয়া আরেকটি দাবি তুলেছে, আর সেটি হলো, ন্যাটোর পূর্বমুখী সম্প্রসারণসহ তাদের কথিত ইউক্রেন যুদ্ধের ‘মূল কারণ’-এর সমাধান যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোকে করতে হবে।
বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে আলোচনার পর বৃহস্পতিবার ক্রেমলিনে এক সংবাদ সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও যুদ্ধের মূল কারণ সমাধানের দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা শত্রুতা বন্ধের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত। কিন্তু আমরা এ সত্য থেকে এগিয়ে যাব যে, এ যুদ্ধবিরতি এমন হওয়া উচিত হবে, যাতে এটি থেকে দীর্ঘমেয়াদি শান্তির দিকে যাওয়া যায় এবং এ সংকটের মূল কারণগুলো দূর হয়।’
২০২৪ সালের মাঝামাঝি থেকে রুশ বাহিনী ইউক্রেনে অগ্রসর হচ্ছে। এরই মধ্যে ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রাশিয়া। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধ চান তিনি। গত বুধবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প বলেন, তিনি আশা করেন, ক্রেমলিন ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির মার্কিন প্রস্তাবে সম্মত হবে। এরই মধ্যে ইউক্রেন এতে সমর্থন জানিয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: শামসুদ্দোহা
শ্রীপুর,গাজীপুর
মোবাঃ +৮৮০ ১৭১৩৬৪৮৬৭১
Copyright © 2025 Dainik Somoyer Songbad. All rights reserved.