বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে মূল অলিম্পিকে এখনো কোনো পদকের ছোঁয়া না লাগলেও স্পেশাল অলিম্পিকে সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এবারের সাফল্য এসেছে ইতালির তুরিনে অনুষ্ঠিত উইন্টার স্পেশাল অলিম্পিক থেকে, যেখানে বাংলাদেশ নারী ফ্লোরবল দল স্বর্ণপদক জয় করেছে।
ফাইনালে বাংলাদেশ ৪-২ গোলে ইউক্রেনকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে অধিনায়ক স্বর্ণা, ফাতেমা তাবাল্লিন এবং ফাবিয়া একটি করে গোল করেন। এর আগে সেমিফাইনালে শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কাটে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ দলের সফলতার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছেন বিকেএসপির হকি কোচ জাহিদ হোসেন রাজু, যিনি ফ্লোরবল দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দলের দলনেতা ছিলেন সাবেক ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়ন শেখ আবুল হাশেম, আর উপদলনেতার দায়িত্ব সামলেছেন জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদ ও সংগঠক কামরুন্নাহার ডানা।
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ক্রীড়াবিদদের জন্য মূলত দুই ধরনের অলিম্পিক গেমস রয়েছে— প্যারা অলিম্পিক ও স্পেশাল অলিম্পিক। শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য প্যারা অলিম্পিক হলেও মানসিক প্রতিবন্ধীদের জন্য আয়োজন করা হয় স্পেশাল অলিম্পিক।
উইন্টার স্পেশাল অলিম্পিকে বেশিরভাগ ইভেন্টই শীতপ্রধান দেশের জন্য উপযোগী। তবে ফ্লোরবল ইনডোরে খেলা হয় এবং অনেকটাই হকির মতো, যা বাংলাদেশিদের জন্য তুলনামূলকভাবে অনুকূল। এ কারণেই বাংলাদেশ প্রতি আসরে শুধু এই ইভেন্টে অংশ নিয়ে পদক জয়ের ধারা অব্যাহত রাখছে।
বাংলাদেশের ক্রীড়া ইতিহাসে স্পেশাল অলিম্পিকের সাফল্য উল্লেখযোগ্য। প্রতি আসরেই সামার স্পেশাল অলিম্পিকে অসংখ্য পদক জয় করে বাংলাদেশ। এবার উইন্টার গেমসেও স্বর্ণ জিতিয়ে সেই সাফল্যের ধারা বজায় রেখেছে নারী ফ্লোরবল দল।