গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় অন্তত নয় ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে তিন সাংবাদিকও রয়েছেন। শনিবার হামলাটি একটি ত্রাণ দলকে লক্ষ্য করে করা হয়েছিল। সে সময় স্থানীয় সাংবাদিক ও ফটোগ্রাফাররাও ছিলেন। খবর আলজাজিরার।
ফিলিস্তিন জার্নালিস্টস প্রোটেকশন সেন্টার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিহত সাংবাদিকরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পরিচালিত ‘গণহত্যামূলক যুদ্ধ’ ও ত্রাণ সহায়তা প্রচারের ছবি তুলছিলেন। তারা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে চাপ দেওয়ার জন্য গাজার শান্তি আলোচনা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
হামাস এ হামলাকে ‘ভয়াবহ গণহত্যা’ এবং ‘যুদ্ধ অপরাধ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। সংগঠনটি আরও দাবি করেছে, ইসরায়েল তাদের মানবিক সাহায্য ও শান্তি আলোচনার দিকে কোনো মনোযোগ দিচ্ছে না এবং অনর্থক আগ্রাসন চালাচ্ছে।
ইসরায়েল অবশ্য দাবি করেছে যে, তারা ওই হামলায় সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে করেছে, যারা তাদের সৈন্যদের ওপর হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তবে ইসরায়েল কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেনি এই দাবির পক্ষে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় মোট ৪৮ হাজার ৫৪৩ ফিলিস্তিনির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। আহত হয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার ৯৮১ জন। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানায়, গুঁড়িয়ে পড়া ভবনের নিচে বহু ফিলিস্তিনি নিখোঁজ রয়েছেন, যাদের অনেককে মৃত মনে করা হচ্ছে।
গত ২ মার্চ থেকে ইসরায়েল গাজার ওপর সব মানবিক সহায়তা প্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে। এ কারণে গাজায় সংকট আরও বাড়ছে, বিশেষ করে রমজান মাসে মানুষের খাবার ও পানি সরবরাহের পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়ে পড়েছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের গবেষক নিকু জাফারনিয়া জানিয়েছেন, ইসরায়েল গাজার পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়ে ‘গণহত্যা’ চালাচ্ছে।