• ঢাকা, বাংলাদেশ সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০১:৫০ পূর্বাহ্ন
  • [কনভাটার]
শিরোনাম:
সীমান্ত ঘেষা গ্রাম থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পাওয়া দুজন তামান্না ও ফারহানা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বিসিএস ক্যাডার হতে চায় স্বাধীনতা দিবসে এবার কুচকাওয়াজ হচ্ছে না গরমে শরীর চাঙ্গা হবে যে ৩ শরবতে বিএনপি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে না : মুরাদ নির্বাচন দেরি হলে ফ্যাসিস্ট মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে : মির্জা ফখরুল ৮৫০ পরিবারের পাশে দাঁড়াবে জিয়াউর রহমান ফান্ডেউশন আবরার হত্যাকাণ্ডের রায় দ্রুত কার্যকর চায় জামায়াত ষড়যন্ত্র রুখে দিতে প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের কিছু চাঁদাবাজ দখলবাজদের জন্য বিএনপিকে কলঙ্কিত হতে দেওয়া যাবে না : ইশরাক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ইরান, ইয়েমেনিদের হত্যা বন্ধ করুন

পুরো মুখে লোম, চোখও ঢাকা, সেই তরুণের বিশ্বরেকর্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক। অনলাইন সংরক্ষণ / ১১ জন দেখেছে
আপডেট : রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫

অবাক করার মতো একটি ঘটনা ঘটেছে ভারতে। মাত্র ১৮ বছর বয়সেই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের নন্দলেতা গ্রামের ললিত পাতিদার। তার মুখের ৯৫ শতাংশের বেশি অংশ বড় লোমে ঢাকা, যা তাকে বিশ্বের সবচেয়ে লোমশ মুখের অধিকারী হিসেবে পরিচিত করেছে।

ললিতের এই বিশেষত্বের কারণ এক বিরল রোগ, যার নাম হাইপারট্রিকোসিস। এ রোগ সাধারণত ‘ওয়েরেউলফ সিনড্রোম’ নামে পরিচিত। এই রোগের ফলে শরীরের বিভিন্ন অংশে অস্বাভাবিক লোম বৃদ্ধি পায়। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তথ্য অনুযায়ী, সারা বিশ্বে এই রোগের মাত্র ৫০টি নথিভুক্তের ঘটনা রয়েছে।

ললিতের বাবা-মা প্রথমে তার চেহারায় কোনো অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করেননি। তবে ছয়-সাত বছর বয়সের মধ্যে তার মুখসহ শরীরের অন্যান্য অংশে বড় বড় লোম গজাতে শুরু করে। এটি স্বাভাবিক না হওয়ায় চারপাশের মানুষ কৌতূহলী হয়ে ওঠেন। অনেকেই তাকে ভয় পেতেন, আবার কেউবা মজা করতেন। স্কুল ও সমাজে তাকে বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে।

প্রথমদিকে মানুষের কৌতূহল ও বিরূপ মন্তব্যে অস্বস্তিতে থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ললিত নিজেকে মেনে নিয়েছেন। এখন তিনি সমাজের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিজের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছেন। তার একটি ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। সেখানে তিনি নিজের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন দিক শেয়ার করেন।

সম্প্রতি ইতালির মিলানে একটি টেলিভিশন শোতে অংশ নেন ললিত। সেখানেই বিশেষজ্ঞরা তার মুখের লোমের ঘনত্ব মেপে দেখেন এবং নিশ্চিত করেন, তিনিই বিশ্বের সবচেয়ে লোমশ মুখের অধিকারী। এই স্বীকৃতি পেয়ে ললিত উচ্ছ্বসিত।

ললিতের গল্প শুধু একটি বিশ্বরেকর্ডের গল্প নয়, এটি নিজেকে গ্রহণ করার ও সাহসের গল্প। যেকোনো শারীরিক পার্থক্য সত্ত্বেও কীভাবে নিজের জায়গা করে নেওয়া যায়, সেটাই তিনি প্রমাণ করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, মানুষ বাহ্যিক চেহারা দিয়ে নয়, বরং তার কর্ম ও মানসিকতার মাধ্যমে পরিচিতি পায়।

সূত্র: গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস, হিন্দুস্তান টাইমস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

তথ্য ভান্ডার

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১