গাজা উপত্যকা পুনর্গঠন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত পরিকল্পনার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জড়ো হচ্ছেন আরব নেতারা। সৌদির রাজধানী রিয়াদে তারা একসাথে হচ্ছেন।
শুক্রবার ( ২১ ফেব্রুয়ারি) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের পরিকল্পনায় গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্রের হাতে নেওয়া এবং স্থানীয় জনগণকে স্থানান্তর করার প্রস্তাব রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এমন প্রস্তাব আরব দেশগুলোর মধ্যে ব্যাপক বিরোধিতার সৃষ্টি করেছে।
সৌদি সরকারের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, আরব নেতারা ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনার বিরুদ্ধে একটি পুনর্গঠন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবেন।
এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বার্তাসংস্থা রয়টার্স অন্তত ১০টি সূত্রের বরাতে এক প্রতিবেদনে জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তরের বিরুদ্ধে গাজার ভবিষ্যতের জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে আরব বিশ্ব। আর এ পরিকল্পনায় নেতৃত্ব দিচ্ছে সৌদি আরব।
সংশ্লিষ্ট পাঁচজন জানিয়েছেন, সৌদি আরব, মিসর, জর্ডান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত খসড়া প্রস্তাব নিয়ে চলতি মাসে রিয়াদে একটি বৈঠকে বসবে। এতে গাজা পুনর্গঠনের জন্য একটি উপসাগরীয় নেতৃত্বাধীন তহবিল গঠন এবং হামাসকে প্রান্তিক করার বিষয়েও আলোচনা হতে পারে।
ট্রাম্পের পরিকল্পনায় গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে জর্ডান ও মিসরে পুনর্বাসনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, যা কায়রো ও আম্মান সঙ্গে সঙ্গেই প্রত্যাখ্যান করে। এ পরিকল্পনাকে অঞ্চলের অনেক দেশই অস্থিতিশীলতার কারণ হিসেবে দেখছে।
ট্রাম্পের এ পরিকল্পনার কারণে সৌদি আরবের ক্ষোভ আরও তীব্র হয়েছে। কেননা ট্রাম্পের এই পরিকল্পনা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে। ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার শর্ত হিসেবে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের শর্তারোপ করেছে সৌদি আরব। এই সম্পর্ক স্বাভাবিক হলে রিয়াদ ও ওয়াশিংটনের মধ্যে একটি সামরিক চুক্তিও সম্ভব হতে পারে, যা ইরানের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী করবে।
এক আরব সরকারি সূত্র জানিয়েছে, গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে কমপক্ষে চারটি প্রস্তাব ইতোমধ্যেই প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে মিসরের প্রস্তাবটি এখন আরব দেশগুলোর বিকল্প পরিকল্পনার কেন্দ্রে অবস্থান করছে।